গুগল ম্যাপে কিভাবে লোকেশন ট্র্যাক করে
সূচিপত্র
গুগল ম্যাপে কিভাবে লোকেশন ট্র্যাক করে
মোবাইল দিয়ে গুগল ম্যাপে কিভাবে লোকেশন ট্র্যাক করবেন
আপনি যদি মোবাইল ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি লোকেশন বের করার জন্য অনেক অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনাকে কে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করছে সেই নম্বর ট্র্যাক করে বুঝতে পারবেন। এবার আমরা দেখবো অ্যাপসগুলো কিভাবে বের করা যায়।
Truecaller- আপনি যদি আপনার মোবাইলে এই অ্যাপটি ডাউনলোড বা ইন্সটল করেন তাহলে আপনাকে যদি অপরিচিত কেউ কল দেয় তাহলে আপনি তার নামসহ সবকিছু বুঝতে পারবেন। আপনি যদি তার সমস্ত পরিচয় এবং অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার আইমি এড্রেস লাগবে। এই অ্যাড্রেসের জন্য আপনাকে প্রশাসনের সাহায্য নিতে হবে। সাধারণভাবে যদি তার নাম জানতে চান তাহলে আপনার জন্য এই অ্যাপসটা অনেক উপকৃত হবে।
Find my device- ফাইন্ড মাই ডিভাইস এই অ্যাপস দ্বারা আপনি অন্য কারো যদি লোকেশন ট্র্যাক করতে চান তাহলে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। সে কোথায় আছে ঠিক লোকেশনটা পেয়ে যাবেন। যার লোকেশন ট্র্যাক করবেন তার মোবাইলের ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড যেন জানা থাকা লাগবে। সে স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিনা ও জিপিএস অবস্থান জানা লাগবে তাছাড়া এই অ্যাপস দিয়ে কোন কাজ করতে পারবেন না। আপনার যদি বাহিরে কোথায় গিয়ে মোবাইল হারিয়ে যায় তাহলে আপনি এ অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজে মোবাইল বের করে নিতে পারবেন।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের অ্যাপস রয়েছে যেগুলো তারা আপনি মোবাইল লোকেশন বের করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনাকে এগুলো সার্চ দিয়ে বের করে দেখা লাগবে। উপরোক্ত যেগুলোর কথা বলা হয়েছে ওইগুলো অ্যাপস খুব সহজে কাজ করতে পারবেন।
প্রশাসন কিভাবে লোকেশন বের করে
আমরা আজ আলোচনা করব প্রশাসন কিভাবে লোকেশন বের করে। আমরা সাধারণ নাগরিকরা সবার ফোন ট্র্যাকিং করতে পারি না কিন্তু প্রশাসন সবার মোবাইল ট্র্যাক করে তার অবস্থান জানতে পারে। এটা শুধু প্রশাসনের জন্যই বৈধতা। প্রশাসন যদি কারো ফোন ট্র্যাকিং করতে চায় তখন সেল অপারেটরের কাছে অনেক ইনফরমেশন নেয়। পুলিশ অথবা প্রশাসন সাধারণত দেশের বিরুদ্ধে যদি কোন কাজ করে থাকে অর্থাৎ অপরাধীদের পলাতক অবস্থায় থাকলে তখন মোবাইল ট্র্যাক করা হয়। অপরাধী নাম্বার দিয়ে ট্র্যাক করা হয়।
অপরাধী যদি নিজের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সিম ক্রয় করে থাকে তাহলে তার নাম ও তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে প্রশাসন। আসামি যদি বলতক অবস্থায় থাকে তখন যদি তার ফোনের সিম না থাকে শুধু তার কাছে ফোন থাকলেও তার ফোনের আইমি অ্যাড্রেস দিয়ে তার লোকেশন ট্র্যাক করে বের করা যায়। প্রশাসনের অপরাধী খুঁজে বের করার কিছু তথ্য পয়েন্ট আকারে দেখানো হলো -
- প্রশাসন সাধারণত যেই আসামিকে বা অপরাধীকে ধরে তার ফোন নম্বরটি প্রশাসনের কাছে থাকে। সে মোবাইল ফোন নাম্বারের আইমি বের করে অর্থাৎ আইমিকে বলা হয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট। আমাদের সকলের মোবাইলে আইমি রয়েছে আপনি যদি সেই সিম থেকে সেখানে কল করেন তাহলে আপনার নম্বরটি বেরিয়ে চলে আসবে।
- প্রশাসন একটি অপরাধীকে ধরার জন্য বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের কাছে আইনি জানতে চাই এবং সে মোবাইল অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সম্পূর্ণ ডিটেইলস নিয়ে নেয়। অর্থাৎ ওই মোবাইলের আইনি ব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটা প্রশাসন নির্ধারণ করে নেয়। মোবাইল অপারেটর সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সকল তথ্যের মাধ্যমে নম্বরটিও দিয়ে দেয়।
- অপরাধী যখন নতুন নাম্বার ব্যবহার করে থাকেন তখন আইনি দিয়ে তারা নতুন নাম্বার বের করে নেন। এই নতুন নাম্বার দিয়ে অপরাধীকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করে থাকেন। ট্র্যাক করার সময় অনেকগুলো টাওয়ারের সিগনাল পাওয়া যায় কিন্তু সবগুলো টাওয়ারেরই স্পিড থাকে তাহলেই কানেক্টেড করা যায়।কানেক্টেড হওয়ার পরেই খুব সহজেই বলে দেওয়া যায় অপরাধী কোথায় থাকতে পারে।
কিভাবে লোকেশন ট্র্যাক করা হয়
আপনি যদি মোবাইল গুগল ম্যাপে কিভাবে লোকেশন ট্র্যাক করে তা নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন তাহলে খুব সহজে বলে দিতে পারি কিভাবে মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করবেন। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করার জন্য একটা স্মার্টফোন থাকলে যথেষ্ট। কিন্তু স্মার্ট ফোন অথবা মোবাইল ফোন দ্বারা যদি মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করা হয় এটা আইনগতভাবে অপরাধ। একটি সিম কার্ডের মাধ্যমে ও স্মার্টফোন দ্বারা লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হয়ে থাকে। জিপিএস দ্বারা সঠিকভাবে লোকেশন ট্র্যাক করা যায়।
আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে Spyic এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি আপনার কল লিস্ট মেসেজ এবং বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া এপ দেখতে পারবেন। এই অ্যাপটি দ্বারা আপনি আপনার ফোন বা অন্য ফোন ব্যবহার করার পরও আপনার নিজের ফোনে ব্যবহার করতে পারবেন এটা একদম খুব সহজে।
উপরোক্ত একটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একটি apk file ডাউনলোড করা লাগবে। ডাউনলোড করার পরে আপনাকে এনাবল করা করতে হবে। এই অ্যাপের কোন ধরনের পেইড কোন কিছু নেই।এটা একবারে ফ্রিতে ইন্সটল করে নিতে পারেন এটা কোন ট্রায়াল নেই। কিন্তু এ অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন কিনে রাখতে পারেন। যার জন্য আপনাকে প্রতিমাসে চল্লিশ মার্কিন ডলার খরচ করে নিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url