কম্পিউটার নেটওয়ার্ক - নেটওয়ার্ক এর সুবিধা জেনে নিন
সূচিপত্রঃ
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
কম্পিউটারের সাথে হার্ডওয়ারবার সফটওয়্যার সমূহকে একত্রে অনেকগুলো কম্পিউটারের সাথে শেয়ার করে ব্যবহার করার জন্য একে অপরের সাথে যে সংযুক্ত করা হয় তাকেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে। একটা কম্পিউটারের সাথে অন্য একটি কম্পিউটার বা তারা একাধিক কম্পিউটার বিভিন্ন ভাবে সংযোগ স্থাপন হতে পারে। ধরুন আপনি একটি সফটওয়্যার অফিসের কম্পিউটারের সাথে আপনি আপনার বাড়ির কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক সংযোগ করবেন এটি করতে সরাসরি তার বা কেবল দিয়ে আপনি সংযোগ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ 6G প্রযুক্তি কি? ৬জি কবে আসছে - ৬জির সুবিধা অসুবিধা
এটি একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর সংযোগের ব্যবস্থা বলতে পারেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দূরত্বের কম্পিউটারের সাথে কেবল বা তার দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা যায় না। যেমন ধরেন একটি সফটওয়্যার অফিসের শাখার কম্পিউটার এর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হয়। রাজশাহী শাখার কম্পিউটারের সাথে ঢাকা শাখার কম্পিউটারের একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হলে এত দূরের কারণে তার বা কেবল দিয়ে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয় না।
এর জন্য দুটি কম্পিউটারের দূরত্বের মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে হলে টেলিফোন লাইন মডেম কিংবা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে কম্পিউটার সময়ের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা যায়।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ধরন
- প্রথমটি হল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক
- দ্বিতীয় টি হল পাবলিক নেটওয়ার্ক
- স্টার টপোলজি
- রিং টপোলজি
- বাস টপোলজি
- মেশ টপোলজি
- পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক
- ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক
- লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক
- মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক
- ওয়াইট এরিয়া নেটওয়ার্ক
- সার্কিট সুইচ নেটওয়ার্ক
- মেসেজ সুইচ নেটওয়ার্ক
- প্যাকেট সুইচ নেটওয়ার্ক
- পয়েন্ট টু পয়েন্ট নেটওয়ার্ক
- ব্রডকাষ্ট বা মাল্টি পয়েন্ট নেটওয়ার্ক
উপরোক্ত নেটওয়ার্ক গুলোর মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন জীবনের সকল ধরনের কাজ সহজেই সম্পন্ন করতে পারি। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে আমরা অনেক কঠিন কাজও সহজভাবে করে ফেলতে পারি। তাই বলা যায় উপরোক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।
নেটওয়ার্কের সুবিধা
বর্তমান বিশ্বে নেটওয়ার্ক কি নেটওয়ার্কের সুবিধা আমরা সবাই জানি। নেটওয়ার্কগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হোক বা মোবাইল নেটওয়ার্ক হোক। বর্তমান বিশ্বে নেটওয়ার্ক ছাড়া এখন কেউ চলতে পারে না। বর্তমান বিশ্বের নেটওয়ার্কের সুবিধা আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম অনেক সহজ করে দিয়েছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে অডিও কল ,ভিডিও কল, মেইল ইত্যাদি বিভিন্ন ছবি ভিডিও খুব সহজে এবং দ্রুত পাঠাতে পারি।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল রুট করার ১৪ টি সুবিধা বিস্তারিত জানুন
এই নেটওয়ার্ক গুলো বর্তমান বিশ্বে আরো শক্তিশালী হচ্ছে। যার ফলে দৈনন্দিন কাজগুলো আরো সহজ হয়ে পড়ছে। বাড়ির ভেতরে, বাড়ির বাইরে এবং যেকোন স্থানে আমরা এ নেটওয়ার্কের সুবিধা ভোগ করতে পারব। আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানাবো নেটওয়ার্ক কত প্রকার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা গুলো।
বিশ্বে নেটওয়ার্কের ইতিহাস
আমাদের বিশ্বে নেটওয়ার্ক টি ১৯৬০ এর দশকে শুরু হয়েছিল। ১৯৬০ এর দশকের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এআরপিএ এন ই টি নামের বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করে।এআরপিএ এন ই টি এর মাধ্যমে তারের সাহায্যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার পরস্পর যুক্ত ছিল যার মধ্যে, ইউসিএলএ, এসআরআই, ইইউ সি এস বি, ও ইউ ডি এইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার আওতাভুক্ত ছিল।
বিশ্বের প্রথম বার্তাটি এআরপিএ এন ই টি এর মাধ্যমে ২৯ অক্টোবর ১৯৬৯ সালে পাঠানো হয়েছিল। তারপর থেকে আস্তে আস্তে এই নেটওয়ার্কগুলো একের পর এক উন্নত হয়েছিল এবং এটি আরো উন্নত হয়ে বিশ্বের বৃহত্তম নেটওয়ার্ক কে পরিণত হয় যেটিকে আমরা এখন ইন্টারনেট নামে চিনে থাকি।
বিশ্ব নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ
- পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক
- লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক
- মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক
- ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক
পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক কি
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক টি হল এমন একটি নেটওয়ার্ক যা স্থানীয় এলাকার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই নেটওয়ার্কটি বাড়ি স্কুল অফিস ইত্যাদি জায়গায় এল এ এন ব্যবহার করা যায়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক টি হল সবচেয়ে জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক গুলির মধ্যে একটি। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক টি আপনি একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কম্পিউটার সংযোগ করে ডাটা নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারে ১৫টি ক্ষতিকর দিক
আবার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দুটি কম্পিউটারকে এক হাজারটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে খুব তাড়াতাড়ি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবেন। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এ সাধারণত তার ব্যবহার করা হয় কিন্তু বর্তমান যুগে তারবিহীন ভাবে নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক
হোয়াইট এরিয়া নেটওয়ার্ক হল বিভিন্ন জায়গা ভেদে সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক। এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সারা বিশ্বের কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে আপনি সহজেই ডাটা বিনিময় করতে পারবেন। এলএএন এবং এম এ এন সংযোগ করে ওয়ার্ল্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। আমাদের বিশ্বে আর ও ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক রয়েছে যেমনঃ এয়ারলাইন্স নেটওয়ার্ক, রেলওয়ে নেটওয়ার্ক, ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।
আপনারা উপরের নেটওয়ার্ক গুলো ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই নেটওয়ার্ক গুলোর মাধ্যমে আমাদের দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো অনেক ধরনের নেটওয়ার্ক এর সুবিধা ভোগ করছে।
কম্পিউটার এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের ডিভাইস
- কম্পিউটার
- সার্ভার
- স্মার্টফোন, ট্যাবলেট
- সুইচ
- মডেম
- রাউটার
- হাব
- রিপিটার
নেটওয়ার্ক এর সুবিধা
- নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো অনেক সহজেই করে ফেলতে পারি। এবং এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে কথা বলতে পারি।
- কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার ডাটা বা সকল তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।
- কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আমরা হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এই দুটোই শেয়ার করতে পারি।
- কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডাটা স্থানান্তরের গতি খুব দ্রুত হয়ে থাকে।
- কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড দিয়ে নেটওয়ার্কের যেকোনো ফাইল রক্ষা করতে পারি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url