টিউমার ভালো করার উপায় - টিউমার কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

সূচিপত্রঃ

টিউমার ভালো করার উপায় - টিউমার কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক ধরনের কাজ করে থাকি। এই কাজ গুলো করার সময় আমরা পরিষ্কারভাবে। করি না। যার জন্য আপনার শরীরে টিউমার দেখা দিতে পারে। টিউমার একটি বিপদজনক রোগ যা আপনাকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। এই রোগটি যেন না হয় তার জন্য আপনাকে সতর্কতা এবংপরিছন্নতাস অবলম্বন করতে হবে। 

এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করব টিউমার ভালো করার উপায়-টিউমার কিভাবে প্রতিরোধ করবেন এবং টিউমার কিভাবে চিনবেন তা নিয়ে। আপনার মনে টিউমার ভালো করার উপায় না জানা থাকায় অনেক ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হন এবং দিনকে দিন আপনার টেনশন বেড়েই চলেছে যে আপনার শরীরে টিউমার আছে কিনা। কারণ টিউমার রোগটি একটি মারাত্মক রোগ।

এর জন্য আপনার মনে টিউমার ভালো করার উপায় এবং টিউমার কিভাবে প্রতিরোধ করবেন তা প্রশ্ন থেকেই যায়। কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নি ই টিউমার ভালো করার উপায় টিউমার কিভাবে প্রতিরোধ করবেন সে সম্পর্কে। আপনাদের শরীরে ভেজাল যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে টিউমারটি দেখা দিতে পারে।আমাদের মানবদেহে মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ রয়েছে। তাই আমাদের উচিত ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়া এবং মানবদেহের যত্ন নেওয়া।

আরো পড়ুনঃ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

ফলে আপনার মানব দেহের ভেতরে কোনরকম টিউমার ধরা পড়বে না। সাধারণত আমরা শরীরের অযত্ন নিয়ে এবং অপরিষ্কার থাকি তাহলে টিউমারে দেখা দিতে পারে তাই আমাদের উচিত সব সময় মানব দেহের যত্ন নেওয়া এবং পরিষ্কার ও ভেজাল মুক্ত খাবার খাওয়া। এবার আমরা নিচে জানব টিউমার ভালো করার উপায় টিউমার কিভাবে প্রতিরোধ করবেন।

ঘরোয়া পদ্ধতি - টিউমার ভালো করার উপায়

নেশা জাতীয় দ্রব্য
টিউমার এমন একটি রোগ যা ছোট থেকে অল্প অল্প করে অনেক বড় ধরনের আকার ধারণ করে। আমরা যদি প্রতিনিয়ত নেশা জাতীয় দ্রব্য যেমন-গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, এই ধরনের আরো মারাত্মক নেশা সেবন করে থাকি। এই ধরনের নেশা যার দ্রব্য আমরা যদি সেবন করে থাকি তাহলে টিমার হওয়ার মারাত্মক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের এই ধরনের নেশা যার দ্রব্য থেকে। দূরে থাকতে হবে।

সুষম ও পরিষ্কার খাদ্য গ্রহণ করা
দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক ধরনের। খাদ্য গ্রহণ করে থাকি। খাদ্যগুলো খাওয়ার আগে পরিষ্কার কিনা তা জানার চেষ্টা করি না। এ বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভেজাল যুক্ত মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে যা আমরা কেউ জানিনা। আপনারা যারা খাবারগুলো খান অবশ্যই খাবারগুলো পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে। এতে আপনাদের শরীরে কোন ধরনের টিউমার হবে না। টিউমার ভালো করার উপায় সম্পর্কে আমরা নিচে আরও বিস্তারিত জানব।

মানব দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা একদমই ভাবি না যে খাওয়ার গুলো খেলে দেহে কতটুকু ক্ষতির প্রভাব পড়বে। আমরা যদি দৈনন্দিন জীবনে পরিমাণের চেয়ে বেশি খাবার খায় তাহলে আমরা মোটা হয়ে যাব। মানবদেহে চর্বি জমা হলে টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে। মানবদেহে অতিরিক্ত চর্বি জমলে শুধু টিউমার নয় আরো অনেক ধরনের রোগের বাসা বেধে থাকে।

এর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাওয়ার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হলে প্রতিদিন সকালে দৌড়াতে হবে এবং হাঁটতে হবে এর ফলে চর্বি গুলো কমে যাবে। অবশেষে বলা যায় উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

বেশি তাপমাত্রা থেকে দূরে থাকুন - টিউমার ভালো করার উপায়

শারীরিক সম্পর্ক বা বৈধ সম্পর্ক নিশ্চিত করা

হোমিও চিকিৎসা - টিউমার যেভাবে প্রতিরোধ করবেন

টিউমার ভালো করার জন্য আমরা বড় বড় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন হোমিও ওষুধ খেয়েও টিউমার ভালো করা যায়। শরীরে কোন জায়গায় টিউমার হলে বড় ডাক্তারকে না দেখিয়ে আগে আপনারা হোমিও ওষুধে খেয়ে দেখতে পারেন। হোমিও ঔষধ খাওয়া শুরু করলে আপনার শরীরের টিউমারের কোন অপারেশন করা লাগবে না। অপারেশন ছাড়াই শরীরে টিউমারটি ভালো হয়ে যেতে পারে। হোমিও ওষুধ একটি প্রাকৃতিক ওষুধ যা টিউমারের জন্য অত্যন্ত জরুরী।

আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের টিউমার হয়ে থাকে যার কারণে হোমিও ঔষধ গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যার শরীরে যেমন টিউমার রয়েছে তার শরীরের জন্য তেমন হোমিও ওষুধ রয়েছে। এর জন্য কোন বড় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে হোমিও ওষুধের চিকিৎসা নিতে পারেন। আপনার শরীরে  যদি  টিউমারটি ক্রমাগত বৃদ্ধি হতে থাকে এবং আপনি দেখছেন টিউমারটি ভালো হচ্ছে না তাহলে আপনার নিকটস্থ বড় কোন মেডিকেলের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

কোনিয়ামঃ কোনিয়াম এ ওষুধটি টিউমারের জন্য ব্যবহার করা হয়। টিউমার ভালো করার উপায় এর জন্য কোননিয়ম ওষুধটি পেটে বা স্তনে টিউমার হলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। যার ফলে পেটে বা স্থানের ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

ব্যারাইটা কার্বঃ এই ওষুধটি টিউমারের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। ছোট বাচ্চাদের মাথায় টিউমার হয়ে থাকলে এই ব্যারাইটা ওষুধটি ব্যবহার করলে টিউমার ভালো হয়ে থাকে। এর জন্য শিশুদের যদি মাথায় টিউমার হয় কোনরকম দ্বিধাবোধ ছাড়াই ব্যারাইটা কার্বো হোমিও ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবেন।

গ্রাফাইটিসঃ আমাদের মানবদেহে অনেক সময় চোখের পাতায় টিউমার হয়ে থাকে এর জন্য অতি প্রয়োজনীয় ওষুধটি হলো গ্রাফাইটিস। গ্রাফাইটিস হোমিও ওষুধটি চোখের পাতার টিউমারের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী।

ক্যালকেরিয়া ফ্লোরঃ মানবদেহে আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় টিউমারটি বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনি ক্যালকেরিয়া ফ্লর এই হোমিও ওষুধটি সেবন করতে পারেন। অতিরিক্ত মাত্রায় এবং শক্ত টিউমার হওয়ার কারণে এই ওষুধটি খুবই প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী।

টিউমার প্রতিরোধ করার দোয়া - টিউমার যেভাবে প্রতিরোধ করবেন

আমরা যারা মুসলমান আছি তাদের একটা কথা মন থেকে বিশ্বাস করতে হবে যে সবকিছু সৃষ্টির মালিক আল্লাহ তা'আলা। আল্লাহতালা যেমন রোগব্যাধি দিয়ে থাকে তেমনি ভাবে রোগ ব্যাধি ভালো হওয়ার কোন না কোন উপায় দিয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের যেমন সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহ তা'আলা আমাদের রোগ-বালাই থেকে মুক্তি করবেন। কোন রোগ ব্যাধি হলে আল্লাহর দরবারে যদি আমরা দোয়া চাই তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল ধরনের রোগ ব্যাধি ভালো করে দেবেন।

আমাদের রোগ বালাই থেকে বাঁচার জন্য কোরআন এবং হাদিসে অনেক আয়াত রয়েছে। টিউমার ভালো হওয়ার দোয়া: "আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফায়ান লা য়ুগাদিরু সুকমা।"

শেষ কথা