রমজান মাস রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের মাস সম্পর্কে হাদিস
সূচিপত্র
ভূমিকাঃ রমজান মাস
রমজান মাসের প্রথম রজনীর যখন আগমন ঘটে তখন শয়তান ও অসৎ জিন গুলোকে বন্দী করে দেওয়া হয় জাহান্নামের দরজা গুলো বন্ধ করে দেয়া হয় । জান্নাতের দরজা গুলো খুলে দেয়া হয় বন্ধ হয় না আর এই মাসে । প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এসে ঘোষণার দিয়ে যাই যে “হে অসৎ কাজের অনুসন্ধানকারী তুমি থেমে যাও ও হে সৎকর্মের অনুসন্ধানকারী তুমি অগ্রসর হও” এই মাসটি রহমতের মাস না জাতের মাস এমনি বলা হয় না এই মাসে প্রতি রাত্রে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দেন।
রমজান মাস রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের মাস
রমজান মাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে
রমজান পুরোটাই রহমতের মাস তবে আমরা জানি রমজান মাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে রমজান মাসের প্রথম দশ দিনকে বা প্রথম দশক কে বলা হয় রহমতের , দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক নাজাতের । এই ত্রিশটা দিন যখন মুসলমান ভাই-বোনদের কাছ থেকে চলে যায় তখন তাদের খুব আফসোস হয় যে আবার দীর্ঘ ১১ মাস অপেক্ষার পর এই দিনটা আসবে কিন্তু এই দিনটা তারা পাবে কিনা কেউ জানে না তাই যাদের কপালে বা ভাগ্যে আমাদের। এই পবিত্র রমজান মাস আসবে তারা সব সময় চিন্তা করবেন যে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করার।
আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে পুরো দুনিয়া ও আখিরাত ভালই যাবে ইনশাআল্লাহ। হাদিসে রহমতকে প্রথম দশকে মাগফেরাতকে দ্বিতীয় দশকে আর মুক্তিলাফকে বা নাজায়েত কে তৃতীয়দাসকে আবদ্ধ করা হয়েছে । অথচ আমরা জানি আল্লাহ তাআলার রহমত মাগফিরাত ব্যাপক।এটা পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। তাই আল্লাহ তায়ালার ব্যাপক বিস্তারিত বিষয়কে সংকীর্ণ করে ফেলার অধিকার আমাদের নেই। তাই আমাদের প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোনদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে রমজান মাসের প্রতিটি দিন রহমত প্রতিটি দিন মাগফিরাত
আরো পড়ুনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা বিস্তারিত জানুন
এবং প্রতিটি দিন বরকতময় ও নাজায়েতের সমৃদ্ধ। হাদিস থেকে বর্ণিত, রমজান মাসে প্রতি রাত্রে জাহান্নাম থেকে অসংখ্য মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়।“তিরমিজি” রহমত করে দেয়ার বিষয়গুলো অনেকেই বুঝতে পারে না । তবে রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন যেহেতু রহমতের বা দয়ার । সুতরাং এই ১০ দিন আমাদের করণীয় হলো আল্লাহ তায়ালার দয়া-মায়া সংক্রান্ত নামসমূহ হৃদয় থেকে পড়া এর ভাব ও প্রভাব এবং বৈশিষ্ট্য অর্জন করে করার চেষ্টা করতে হবে। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন নাজাতের সুতরাং এই মাসের আমাদের করণীয় হল দুনিয়ার সবকিছু
আকর্ষণ ও মৌছেরে আল্লাহর প্রেমে আনাগত বা বিভোর হওয়া। রমজান মাসের শেষের যে ১০ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দশ দিন এর মধ্যে রয়েছে সর্বোত্তম রাত লাইলাতুল শবে কদর এর রাত । আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দার নাজাত দিয়ে থাকেন এই দশ দিনে।
রমজান মাসকে রহমতের মাস বলার কারণ কি
রমজান মাস অর্থাৎ রোজার মাস উপলক্ষে আমাদের দেশে বহু প্রতিষ্ঠান ক্যালেন্ডার ছাপে । রমজান মাসের চাঁদ দেখার পর পৃথিবী জুড়ে নেমে আসে এক আধ্যাত্মিক স্পন্দন। বিশ্বের সকল মুসলমান ভাই-বোনদের চিত্ত হয় আলোকিত। রহমত বরকত নাজাত এর প্রয়োজন নিয়ে সূচিত আত্মিক ও শারীরিক পরিশুদ্ধির মাস এই রমজান মাস। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি এই রমজান মাসকে দোয়া ভরা স্বাগত জানাতেন তাই আমাদের উচিত এই মাসটিকে এই দোয়া ভরা আবেগের চেষ্টা নিয়ে রমজান মাসকে স্বাগত জানানো।
রমজান মাস রহমত মাগফিরাতের মাস সম্পর্কে হাদিস প্রায় সকলেরই জানা হযরত সালমান(ফার্সি) রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিস । হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন রমজান মাস এমন এক মাস যার শুরুতে রহমত মাঝে মাগফিরাত এবং শেষে মুক্তি ‘ইবনে খুজাইমা ১৮৮৭’দীর্ঘ ১১ মাসের চেয়ে এই রমজান মাস আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জনের মাস । ওই 11 মাসের সব স্বপ্ন চিন্তা ভাবনা ডুবে থাকা বেপরোয়া বা বেপথের মানুষটিও তার এবাদতের মাধ্যমে এই মাসে আল্লাহর একান্ত রহমত খুঁজে পাবে।
এই পবিত্র রমজান মাসে বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা পবিত্র কোরআন শরীফ পড়া সকল মুসলমান ভাই-বোনদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ানো ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব তাই বলা হয় রমজান মাস রহমত মাগফিরাত ও নাজিয়াতের মাস বলা হয়। এই রমজান মাসের মধ্যে রয়েছে পবিত্র ও বরকতময় মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। ইতিকাফের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ইবাদতের নিরিবিলি ভাবে বিলীন হওয়ায় অবারিত সুযোগ।
আরো পড়ুনঃ ইফতার খোলার নিয়ম ও দোয়া বিস্তারিত জেনে নিন
এই মাসকে সম্মানিত করার আরো একটি কারণ পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে বলে পবিত্র কোরআন শরীফ এই রমজান মাসেই নাযিল হয়েছে। পবিত্র রমজান এর রোজা আল্লাহ তাআলার প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোনদের জন্য ফরজ করেছেন। তাই কোন অজুহাত ছাড়া এই ফরজ কাজ আমাদেরকে আদায় করতে হবে এই ফরজ কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব । রমজান মাসের রোজা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন “হে মুমিনগণ! তোমার উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে।
যেমন ফরজ কাজ করা হয়েছিল তোমার পূর্ববর্তী উম্মতের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া ও পরেজিকারী অর্জন করতে পারো।”সূরা বাক্বারা, আয়াতঃ ১৮৩’রহমত মাগফিরাত আর নাজিয়াতের বার্তা নিয়ে পবিত্র রমজানের প্রতিবছর আমাদের মাঝে অনেক শান্তি প্রশান্তি নিয়ে ফিরে আসে নিঃসন্দেহে অন্যান্য মাস অপেক্ষা রমজান মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। মহিমান্বিত মাসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও গুরুত্ব কে অপরিহার্য। এই মাসে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও মানুষের পরিশুদ্ধতা অর্জনের রহস্য নিহিত ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url