ইফতার খোলার নিয়ম ও দোয়া বিস্তারিত জেনে নিন
সূচিপত্র
ইফতারের ভূমিকাঃ
ইফতার হলো আরবি শব্দ। পবিত্র রমজান মাসে মুসলমান ভাই-বোনেরা রোজা রাখার জন্য সারাদিন পর সূর্য অস্তের সময় যে খাদ্য গ্রহণ করে তাকে মূলত ইফতার বলে। ইফতারের সময় মুসলমান ভাই বোনেরা আল্লাহর কাছে বিশেষ ভাবে প্রার্থনা করে থাকে। আর এই পবিত্র সময়ে আল্লাহ তায়ালা সকলের দোয়া কবুল করে নেই। এই পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল। যেন মানুষ আল্লাহ তাআলার পথে চলে এবং নবী-রাসূলগণের দেখানো পথে সরগম হয়।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের ফজিলত - লাইলাতুল কদরের রাতের গুরুত্ব বিস্তারিত জানুন
এটি মানুষকে সর্ব সঠিক এবং সত্য পথে দিকে নিয়ে যাই। হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও সে অনুযায়ী আমল পরিত্যাগ করতে পারল না তবে এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করা আল্লাহর কোন দরকার নেই। তাই দুনিয়ার কোন সুবিধার জন্য নয় বরং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যে রোজা থাকা হয় এটি ইফতারের দোয়া সময় প্রকাশ করা হয়”। এর জন্য আমাদের বেশি বেশি করে রোজা থাকতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন।
ইফতার খোলার দোয়াঃ
রোজাদারদের রোজা রাখা অবস্থায় ও ইফতার খোলা কালীন সময়ে ইফতারের দোয়া পড়া মুস্তাহাব। নিম্নে ইফতার খোলার নিয়ম ও দোয়া দেওয়া হলোঃ
উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজিক্কিকা আফতারতু”।
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার ওই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়ারই দ্বারা ইফতার করছি”।
উপরোক্ত হাদীসটি সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে মুয়াজ বিন যাহরা হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন “যখন কেউ ইফতার করে তখন সে যেন বলে, “আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজিক্কিকা আফতারতু”। অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার ওই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়ারই দ্বারা ইফতার করছি”।
এছাড়াও ইফতারের সময় অনেক জন অনেক ফলমূল খায় এই সময় ফল খাওয়ার দোয়াটিও পড়তে পারবেন ফল খাওয়ার দোয়াটি হলঃ “ আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি আছমারেনা ওয়া বারিক লানা ফি ছায়িনা ওয়া বারিকলানা ফি মুদ্দিনা ওয়া বারিকলানা ফি মাদিনাতিনা”। অতএব উপরোক্ত দোয়া গুলো পড়ে ইফতার করতে হবে। আর যদি কেউ আরবিতে ইফতারের দোয়া না পড়তে পারেন তাহলে বাংলায় পড়ে ইফতার খুলতে পারবেন।
ইফতারের খাবার সামনে আসলে দোয়াঃ
উচ্চারণঃ “আলহামদুল্লিহিল-লাজি রাজাকানিহি মিন গাইরি-হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুয়াতা”।
অর্থঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাকে আমার শক্তি সামর্থ্য ছাড়াই রিজিক দিয়েছেন”।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ ইফতারে কি খেতেন?
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এতক্ষণে হয়তো বা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন। কারণ উপরে ইফতার খোলার নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন এবার জেনে নিয়ে ইফতারের সময় হযরত মুহাম্মদ সাঃ কি খেতেন। তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
ইবনে আবু আওয়া রাদিয়াল্লাহ তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন কোনো এক সফরে আমি নবী সাঃ এর সাথে ছিলাম। তিনি রোজা রেখেছিলেন, সন্ধ্যা হলে তিনি এক ব্যক্তিকে বললেন, তুমি আমার জন্য গিয়ে ছাতু গুলি আনো। সে বলল, আপনি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
আরো পড়ুনঃ রমজান মাসে রোজা রাখার নিয়ত ও দোয়া বিস্তারিত জানুন
নবী সাঃ বললেন, তুমি গিয়ে আমার জন্য ছাতু গোলে আনো যখন দেখবে রাতের অন্ধকার একদিক থেকে পূর্ব দিক হতে ঘনিয়ে এসেছে তখন বুঝবে ইফতারের সময় হয়ে গেছে। নবী করিম সাঃ বিশেষ করে রোজা রেখে ইফতারের সময় খেজুর খেতেন। খেজুর ছিল হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রিয় খাবার।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url