ই লোন পাওয়ার উপায় - ই লোন এপস 2023
সূচিপত্র
ভূমিকাঃ ই লোন এপস 2023
আমাদের বিভিন্ন কাজের কাজের জন্য অনেক সময় লনের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় প্রয়োজনের কারণে আমরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন করে থাকি। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিতে হয়। তাছাড়া অনেক রকমের ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়।ই লোন ব্যবসায় কিংবা ব্যক্তিগত কাজের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় মাধ্যম। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে লোন নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন লোন অ্যাপস বাংলাদেশ 2023
ই লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কোন ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে না। যার কারণে সবাই অনলাইনে ই লোন নিতে চায়।ই লোন কিভাবে নিতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা।ই লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ই লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন আমরা ই লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ই লোন কি
ই লোন বাংলাদেশ
বর্তমানে আমরা যেকোনো বিষয়ে জন্য অনলাইনে সাহায্য নেই। বিভিন্ন কাজের জন্য আমরা এখন অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করি। বাংলাদেশের লোন ব্যবস্থাপক ই লোন চালু করেছে। আমাদের দেশে অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি লোন সংস্থা চালু হয়েছে। যার কারণে আপনাকে সর্বপ্রথম ই লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।সরকারি ও বেসরকারি লোন সংস্থা থাকা সত্ত্বেও ই লোন একটি অন্যতম মাধ্যম যার কারণে আমরা খুব সহজেই লোন পেয়ে থাকি।
সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে লোনের জন্য আবেদন, বিবরণ ও ঋণ পরিষদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া। একদিকে যেমন ক্ষুদ্র উদ্যোগতারা প্রয়োজনের সময়ে দ্রুত ঋণ দিতে পারেন। অন্যদিকে এই ঋণের সার্ভিস চার্জও হবে খুবই কম। এছাড়া ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র অভাবে ব্যাংক থেকে ঋণ এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন না। তারাও খুব সহজে ই লোন এর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ই লোন সুবিধা
আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে যার জন্য আপনার কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। কিন্তু ই লোন এর জন্য কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হবে না। এটা আপনি ঘরে বসে সহজেই লোন নিতে পারবেন।ই লোন পাওয়ার উপায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর কিছুক্ষণ পরে আপনি খুব সহজেই লোন পেয়ে যাবেন।
যা আপনি আপনার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যাংকের লোকজনের কাছে ঘোরাঘুরি ও ঘুষ প্রদান করার কোন প্রয়োজন মনে করে না ই লোন এপস 2023।
ই লোন পেতে কতদিন সময় লাগে
ই লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করার পর একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে সেখানে আপনি আপনার লোন আইডি ও দেখাতে পারেন। সেই ইন্টার পেজে বলা হবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ই লোন এর প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আপনার সাথে কথা বলে কনফার্ম হবে যে আপনি সেই লোক কিনা। আপনার বিষয়টা তারা দেখবে এবং এক মাসের মধ্যেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার লোনটি দেওয়ার চেষ্টা করবে।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম - মেয়েদের ঘরে বসে আয়
লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। তারাই আপনাকে খুঁজে বের করবে। এখানে আপনাকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
ই লোন এর জন্য যা যা ডকুমেন্ট প্রয়োজন
ই লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ই লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।ই লোন পাওয়ার উপায় এর মধ্যে আপনি আপনার সকল প্রকার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। আপনি যতই প্রফেশনাল লোক হন না কেন সে ক্ষেত্রে আপনার কমন ডকুমেন্টস গুলো লাগবে। আপনার যেই ডকুমেন্টস গুলো লাগবে সেগুলা হল। দুই কপি ছবি, এনআইডি কপি, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি। যেহেতু আপনি ই লোন এর জন্য এপ্লাই করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার একজন গ্যারান্টের থাকতে হবে।
সেটা আপনি ফ্যামিলি কেউ একজনও হতে পারে অথবা আপনার পরিচয় কেউ একজন হতে পারে। আপনার সেই গ্যারান্টি এর দুই কপি ছবি এবং এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। যার জন্য আপনাকে ব্যাংকের মতো কোনো অতিরিক্ত কাগজ পাতি জমাদার প্রয়োজন হবে না।
বেতন যুক্ত চাকরির ক্ষেত্রে
বেতন যুক্ত ব্যক্তি ক্ষেত্রে আপনার স্যাল ক্রিকেট কপি লাগবে, পেস্লিপের কপি ৬ মাসের ব্যাংক স্ট্রুমেন্ট লাগবে।
ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে
ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের লাস্ট তিন বছরের ট্রেড লাইসেন্স এর কপি লাগবে এবং আপনার ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে যদি পার্টনারশিপ কোম্পানি হয় সে ক্ষেত্রে আপনার পার্টনারশিপ ডিড লাগবে। আর যদি লিমিটেড কোম্পানি হয় সেক্ষেত্রে মোয়া কপি লাগবে।
পেশার ক্ষেত্রে
আপনি যদি পেশাদার ব্যক্তি হন তাহলে আপনার পেশাদারি সার্টিফিকেট কপি লাগবে। আপনি যদি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হন সে ক্ষেত্রে আপনার বিএমডিসির সার্টিফিকেট লাগবে। আপনি যে কাজই করেন না কেন সে কাজের ডিক্লারেশন দিতে হবে। আপনার এক বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকা লাগবে।
বাড়িওয়ালর ক্ষেত্রে
বাড়িওয়ালার ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া এগ্রিমেন্ট এর কপি লাগবে। আপনি কত টাকা মাসিক ভাড়া ইনকাম করেন সে বিষয়ে একটা ডিক্লারেশন দিতে হবে আপনার বাড়ির অনার্স শিপ লাগবে তাছাড়াও এক বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে। তাছাড়া যারা প্রবাসী ভাইয়েরা আছেন দেশের বাইরে থাকেন তারাও চাইলে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তার জন্য ব্যাংকের রিকমেন্ড অনুযায়ী সেই ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হবে।
জামানত ছাড়া ই লোন
ই লোন এর জন্য রেফারেন্স
যদি আপনার রেফারেন্স তাহলে আপনি অবশ্যই হ্যাঁ দিবেন। আর যদি কোন রেফারেন্স না থাকে সেক্ষেত্রে না ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর আবার একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। সেখানে আপনার ডকুমেন্টস দিতে হবে। তারপর আপনি সেই ইন্টার পেইজে দেখতে পাবেন যে একটি আকাশের রংয়ের বাটন সেই বাটনে লেখা থাকবে প্রয়োজনীয় তথ্য ডকুমেন্ট চেক লিস্ট। সে আকাশের রংয়ের বাটনে আপনি ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পরে আরও একটি ইন্টার প্লিজ ওপেন হবে। তারপর আপনি সাবমিটে ক্লিক করবেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি - ফ্রি টাকা ইনকাম
তারপর সেখানে আপনার ডকুমেন্টস দিতে হবে যেমন এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ,একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আপনার ফেসবুক পেজ অথবা ই-কমার্স ইন্সট্রুমেন্ট লাগবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা বিজনেস সিস্টেম লাগবে। অথবা আপনার যদি ব্যাংকটি থাকে সেটাও কিন্তু এখানে লাগবে । আপনার ব্যাংক একাউন্টে কিন্তু টাকা এসে যোগ হবে। আপনার ব্যবসায়িক তথ্য অন্তত দুইটা লাগবেই। সেই ইন্টার পেজে আপনাকে কাজটা করতে হবে সেটা হল ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে অর্থাৎ তিন সার্টিফিকেট দিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url