কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো - খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
সূচিপত্রঃ কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো
ভূমিকাঃ কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো খেজুর হল আজওয়া খেজুর। যার পুষ্টি গুণ অনেক বেশি। এখন বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের খেজুর চাষ করা হয়। প্রথমে জানতে হবে কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। কারণ সব খেজুরি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। সারা বিশ্বে প্রায় ৬০০ রকমের খেজুর পাওয়া যায়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ছাড়াও অনেক রকমের ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় - দাঁতের মাড়ি ব্যথার ঔষধ
আমরা অনেকেই জানিনা কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো। বাজারে খেজুর কিনতে গেলে আগে জানতে হবে কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো। খেজুর শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে বিভিন্ন রকম পুষ্টি পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে কমপক্ষে দুইটা করে খেজুর খাওয়া উচিত। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নত মানের খেজুর সম্পর্কে জানব। এমনও হতে পারে এই রমজানে আপনার প্রিয় খাবার খেজুর।
খেজুর খাওয়ার সুন্নত
খেজুর আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী খাবার। এটি সাধারণত রমজান মাসে সবাই খায়। তাছাড়া খেজুর একটি সুন্নতি খাবার। যা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রতিদিন সকালে এই খেজুর খেতেন। রমজান মাসে প্রত্যেকটি মানুষেরই এই খেজুর খুবই পছন্দের খাবার। খেজুর বিভিন্ন ধরনের হয়। আজওয়া খেজুর, ওমানি খেজুর,মেজুল খেজুর, হালাউয়ি খেজুর,আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানেন রমজান মাসের প্রধান খাবার হচ্ছে খেজুর। কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে।
আজকে আমরা কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। ইসলামিক দিক থেকে ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া সুন্নত। বাজারে আমরা নানা ধরনের খেজুর দেখতে পাই এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো তা বোঝা খুবই কঠিন।
আজওয়া খেজুর
আজওয়া খেজুর দেখতে কালো এবং খুবই নরম যা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ। এটি খেতেও খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এই খেজুরটি সৌদি আরবের মদিনাতে মদিনাতে চাষ করা হয়। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই খেজুর পছন্দ করতেন। রমজান মাস ছাড়াও খেজুর খাওয়া যায় কারণ খেজুর হল আমাদের জন্য সুন্নত। এই আজওয়া খেজুর খেলে হৃদপিণ্ড রোগ ও হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই খেজুরে থাকা ভিটামিন বি ও ম্যাগনেসিয়াম জাহাজের জন্য খুবই উপকারী। এই খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। এই খেজুরের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
নিয়মিত দুইটা করে খেজুর খেলে হাড় ও দাঁত মাজবুত হয়। তাছাড়া এই খেজুরে গ্লুকোজ এর পরিমাণও অনেক। শরীরে শক্তিও পুষ্টি বাড়াতে এই খেজুর সহায়তা করে। এই খেজুরে লিসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যার কারণে ডায়াবেটিক আক্রান্ত রোগীরাও সহজে খেতে পারে। এই খেজুরে প্রচুর পরিমাণে এন্ট্রি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ওমানি খেজুর
মেজুল খেজুর
মেজুল খেজুর কে বিশ্বের জনপ্রিয় খেজুর বলা হয়। এই খেজুরের চাষ সাধারণত মরক্কোতে করা হয়। তাছাড়া বর্তমানে আমেরিকা সহ অনেক দেশে এই খেজুর খুব সহজে পাওয়া যায়। এই খেজুরের আকার অনেক বড় হয় এবং এই খেজুরটি বাদামী রঙের হয়ে থাকে। এই খেজুরে অধিক পরিমাণে সালফার, মিনারেল, ভিটামিন থাকে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ সকালে কি কি ব্যায়াম করা উচিত বিস্তারিত জানুন
তাছাড়া ওই খেজুরটি হজমে সহায়তা করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রাখে। এই খেজুরটি মস্তিষ্ক আর এর জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া এই খেজুরটি খেতেও খুবই সুস্বাদু।
হালাউয়ি খেজুর
ডেগলেট নূর খেজুর
খেজুরের উপকারিতা
- খেজুরে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে।
- খেজুর তারুণ্য এবং যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- খেজুরে থাকা ডায়েটরি ফাইবার কোলেস্টরেল এর সমস্যা দূর করে।
- খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ সহায়তা করে।
- খাদ্য অরুচি দূর করতে খেজুর সহায়তা করে।
- খেজুরের থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে সহায়তা করে।
- খেজুরে থাকা ফায়বার মানে একটা ওয়েবসাইট থেকে কপি করে এখানে দিয়েছি আমি্র দূর করতে সহায়তা করে।
- খেজুর খাওয়ার সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- খেজুর পানিসূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সহায়তা করে।
- খেজুর শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে।
- খেজুর হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।
- খেজুরের ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে।
- খেজুরে থাকা বিভিন্ন পোস্টে উপাদান স্যালুটনিন নামক হরমোন উৎপাদন করতে সহায়তা করে
- খেজুর মানুষের মানসিক প্রফুলতা দেয়।
- খেজুরের শরীরের শক্তি বর্জন হিসেবে কাজ করে এতে ৮০ ভাগ চিনি রয়েছে।
খেজুরের অপকারিতা
খেজুরের উপকারিতার পাশাপাশি এসব অপকারিতাও রয়েছে। অনেকের ওজন বেশি থাকার কারণে কোন কিছু ঠিকভাবে করতে পারে না। অতিরিক্ত খেজুর খেলে শরীরের দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে। ওজন বৃদ্ধি না করতে চাইলে খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরে এলার্জি সমস্যা হতে পারে । তাই শরীরে এনার্জি সমস্যা থাকলে খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ব্যায়াম করার উপকারিতা - ব্যায়াম করার অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url