রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
সূচিপত্রঃ রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া
আমাদের পবিত্র ইসলাম ধর্মে হালাল রিজিক দ্বারা উপার্জিত খাদ্য খাওয়ার করা নির্দেশ রয়েছে। তা আমরা সকলেই ভালোভাবে জানি। তবে আল্লাহ তা'আলা আমাদের রিজিকের দায়িত্ব নিয়ে থাকলেও কার কোথায় রিজিক লিখে রেখেছেন তা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া ভালো কেউ জানে না। ধরেন আপনি দুপুরে যেকোন একজনের বাসায় দেখা করতে গেছেন কিন্তু আপনাকে না খেয়ে আসতে দিবে না সুতরাং আপনাকে বাধ্য হয়ে খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ একাধিক বিয়ে নিয়ে ইসলামের বিধান - ছেলেদের কয়টি বিয়ে করা যাবে
সেই ক্ষেত্রে আপনি কি কখনো ভেবেছিলেন যে তার বাড়িতে আপনার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন আল্লাহ তায়ালা। আবার আপনি যেই খাবার খেয়ে আসলেন সেই খাওয়ার আসলেই কি হালাল টাকায় ইনকাম করা খাবার সেটিও আপনি জানেন না। এর জন্য আপনাকে আল্লাহ তায়ালার কাছে হালাল রিজিকের জন্য দোয়া করা এবং আমল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গেই নিয়মিত এ দোয়াটি পড়তেন। ( ইবনে মাজাহ- ৯২৫ নাসায়ি,সুনানে কুবরা-৯৯৩০ )
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ফজরের নামাজ পড়ার পর যে দোয়াটি পড়তেন সেই দোয়াটি হলো-
উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া ওয়া রিজকান তাইয়্যেবা ওয়া আমালান মুতাকাব্বিল”।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এমন ইলম চাই যা আমার জন্য উপকারী। এমন রিজিক চাই যা আমার জন্য পবিত্র ও হালাল। এবং এমন আমলের তৌফিক চাচ্ছি যা তোমার দরবারে কবুল হবে।’
সুতরাং পরিশেষে বলা যায় রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমলের মধ্যে আপনি যদি হালাল রিযিক পাওয়ার জন্য উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করেন তাহলে আল্লাহতালা আপনাকে নিশ্চয়ই হালাল রিজিক দান করবেন। উপরোক্ত দোয়াটি ফজরের নামাজের পর পড়তে হবে।
সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির আমল
প্রিয় পাঠক আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির পাঁচটি আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। সম্পদ বাড়ানোর জন্য নিম্নে লিখিত আমলগুলো আপনাকে অবশ্যই করা প্রয়োজন এবং আল্লাহ তায়ালাকে বিশ্বাস করা প্রয়োজন। নিম্নে সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির আমল দেওয়া হলঃ
আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়া
হযরত নূহ আঃ এর জবাবে পবিত্র কোরানে এসেছে যে, ‘আমি বললাম, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী নালা’। ( সূরা নূহ, আয়াত- ১০-১২ )
তাকওয়া অবলম্বন করা
আল্লাহ তাআলা বলেন,‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহর তার পথ করে দিবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিজিক দান করবে ‘। ( সূরা: তালাক, আয়াত- ২-৩ ) সুতরাং সম্পদ বৃদ্ধি করার জন্য আল্লাহতালার উপর আপনাকে নির্ভর হতে হবে এবং আল্লাহ তালাকে বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহ তাআলা আপনার সম্পদ পরিপূর্ণভাবে দেওয়ার জন্য একাই যথেষ্ট।
যথাযথভাবে আল্লাহর ইবাদত করা
সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মশগুল থাকলে আল্লাহ তাআলা তার উপর ধন সম্পদ এবং রিজিকের হাত বাড়িয়ে দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করলো সে অল্প সময়ে ধন-সম্পদের মালিক হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,‘আর যদি তারা তাওরাত ইঞ্জিলের এবং যে কিতাব কোরআন তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তার যথারীতি আমলকারী হত, তার ওপর আকাশ থেকে এবং পায়ের নিচ জমিন থেকে প্রাচুর্যের সঙ্গে ভক্ষণ করত। তাদের একদল তো সরল পথের পথিক, আর তাদের বেশিরভাগ এমন যে তাদের কার্যকলাপ প্রতি জঘন্য’। ( সূরা: মায়েদা, আয়াত-৬৬ )
আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করা
আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া আদায় করলে অল্প সময়ে ধন-সম্পদবৃদ্ধি পাই। পবিত্র কোরআনে এসেছে,‘স্মরণ করো সেই সময়ের কথা, যখন তোমাদের রব ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদের অবশ্যই বাড়িয়ে দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি বড় কঠোর’। ( সূরা: ইব্রাহীম, আয়াত- ৭ )
সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দোয়া করা
ইশা ইবনে মারইয়াম আঃ যে দোয়াটি করতেন সেটি হল-‘হে আল্লাহ! হে আমাদের রব! আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্য অবতীর্ণ করুন, যেন ওটা আমাদের জন্য অর্থাৎ আমাদের মধ্যে যারা প্রথমে এবং যারা পরে, সবার একটা আনন্দের বিষয় হল এবং আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হয়ে থাকে। আর আমাদের খাদ্য প্রদান করুন। আপনি তো সর্বোত্তম খাদ্য প্রদানকারী ’। ( সূরা: মায়েদা, আয়াত- ১১৪ )
সুতরাং পরিশেষে বলা যায় রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল এর মধ্যে আপনি যদি আপনার সম্পদ বাড়াতে চান তাহলে উপরোক্ত আমলগুলো বাসায় করতে পারেন। এতে আল্লাহ তা'আলা আপনাকে অশেষভাবে সাহায্য করবে।
রিজিক বৃদ্ধির কিছু আমল
প্রিয় পাঠক আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল এর মধ্যে রিজিক বৃদ্ধির দশটি আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নেতা দেওয়া হলোঃ
তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল অবলম্বন করা
মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভয় অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে এবং তার নির্দেশাবলী এবং নিষিদ্ধ বলি গুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে আল্লাহ তাআলার উপর অটল বিশ্বাস রাখতে হবে এবং তাওয়াক্কুল করতে হবে ও রিজিকের সন্ধানে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য অর্থাৎ দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা রাখে আল্লাহ তাআলা তার জন্যই একাই যথেষ্ট।
আল্লাহতালা এরশাদ করেছেন যে,‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবেনা। আর যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তার উদ্দেশ্য পূরণ করবেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন’। (সূরা:আত-তালাক,আয়াত : ২-৩)
তাকওয়া এবং ইস্তেগফার করা
রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি করে ইস্তেগফার এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য নবী এবং রাসূল নূহ আলাইহিস সালামের ঘটনার তুলে ধরে ইরশাদ করেছেন যে,‘আর বলেছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল। তার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টির বর্ষণ করবেন, আর তোমাদেরকে ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিত দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের বাঘ বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী নাল ‘। ( সূরা নূহ: আয়াত: ১০-১২ )
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
সুতরাং আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চান এবং আল্লাহ তায়ালার ইস্তেগফার করুন। এতে করে আল্লাহ তায়ালা বেশি বেশি রিজিক দান করবেন এবং সব রকম খারাপ সময়ের আল্লাহতায়ালার বিশেষ সাহায্য লাভ করবেন।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ওপর দরুদ পড়া
হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর ওপর দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা রিজিকের প্রশস্ততা বাড়িয়ে দেয়। তোফায়েল ইবন উবাই ইবন কাব রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনার প্রতি অধিক হারে দরুদ পড়তে চাই, অতএব আমার দুয়ার মধ্যে আপনার দুরুদের জন্য কতটুকু অংশ রাখবো? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও। কা‘ব বললেন, আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ। তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও। তবে যদি তুমি বেশি পড়ো তা তোমার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, অর্ধেক? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও।
তবে তুমি যদি বেশি পড়ো তা তোমার জন্য উত্তম হবে। কা‘ব বললেন, তাহলে দুই তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও। তবে তুমি যদি বেশি পড়ো তা তোমার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, আমার দুয়ার পুরোটা জুড়ে শুধু আপনার দুরুদ রাখবো। তিনি বললেন, তাহলে তা তোমার ঝামেলা ও প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ ক্ষমা করা হবে। ( তিরমিজি: ২৬৪৫; হাকেম, মুস্তাদরাক: ৭৬৭৭ )
সুতরাং পরিশেষে বলা যায় হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়ুন। যখন সময় পান তখন দরুদ পড়ুন। তাহলে আল্লাহ তা'আলা রিজিক বৃদ্ধি করাই সহযোগিতা করবে।
আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক রাখা
আপনি যদি আপনার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং হক আদায় করেন তাহলে তার মাধ্যমেও রিজিক বাড়ে। আনাস ইবন মালেক রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালামকে বলতে শুনেছি তিনি ইরশাদ করেছেন যে, ‘যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং তার আয়ু দীর্ঘ করা হোক সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে’। ( বুখারী: ৫৯৮৫; মুসলিম: ৪৬৩৯ ) সুতরাং আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন।
আল্লাহর পথে জিহাদ করা
একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি হাসিলের জিহাদের সম্পদের ব্যক্তি ঘটে এবং গুণী মত বা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের মাধ্যমে সংসারের প্রাচুর্য আসে। ইবন উমর রাঃ হতে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন,‘আর আমার রিজিক রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে’। ( মুসনাদ আহমদ: ৫৬৬৭; বাইহাকী: ১১৫৪; শু‘আবুর ঈমান: ১৯৭৮৩ )
ঋণমুক্তি ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকে আছি যারা ঋণের মধ্যে পড়ে থাকি। কোনমতেই ঋণ থেকে মুক্তি হতে পারে না সেই ক্ষেত্রে আল্লাহতালার কাছে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে সহযোগিতা চেতে পারেন। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঋণমুক্তি ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। নিম্নে তা দেওয়া হলঃ
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের ওমরা পালনের নিয়ম - মেয়েদের ইহরামের নিয়ম
আপনারা যারা অধিক ঋনে জড়িয়ে আছেন তারা ফজরের নামাজের পরপর প্রতিদিন নিম্নলিখিত দোয়া গুলো পাঠ করবেন। দোয়া গুলো হল-
উচ্চারণঃ ”আল্লাহুম্মা ফা-রিজাল হাম্মি। কা-শিফাল গম্মি। মুজিবা দাওয়াতিল মদতাররিন।রাহমা-নাদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি ওয়া রহীমাহুমা। আনতা রহমানী রহমাতান তুগনীনী বিহা আন রহমাতি মান সিওয়াক”।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ, আপনি পেরেশানি দূর করার মালিক, দুশ্চিন্তা লাঘবোকারি, দুর্দশা গ্রস্থ, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সকল নিরুপায় মানুষের দোয়া ও আহবানে সারা দানকারী, দুনিয়া এবং আখিরাতে আপনি রহমান, উভয় জগতে আপনি রহিম, আপনি আমাকে দয়া করে দিন। ে আমাকে এমন অনুগ্রহ দ্বারা দয়া করুন যা আপনার রহমত ছাড়া অন্য সবার অনুগ্রহ থেকে আমাকে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী করে দিবে’। ( তাবরানী, কিতাবুদ দুঅ- ১০৪১, মুসতাদরাকে হাকেম- ১৮৯৮ )
উপরোক্ত দোয়াটি পড়ার পাশাপাশি নিম্নলিখিত আরো একটি দোয়া পড়বেন। দোয়াটি হলঃ
উচ্চারণঃ ‘‘আল্লাহুম্মাকফিনী বি’হালালিকা আ’ন হা’রামিকা ওয়া আপনিনী বিফাদলিকা আ’ম্মান সিওয়াক”।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করে দিন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করবেন না। স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে সচ্ছলতা দান করুন’। ( তিরমিজি- ৩৫৬৩ )
প্রিয় পাঠক হাদিসে বর্ণিত রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল এবং ঋণ মুক্তির আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া হলোঃ
উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আউযু বিকা মিনাল-আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউযু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া অ’উযু বিকা মিন দ্বালা’য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল”।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীরণ থেকে’। ( সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৮৯৩ )
সুতরাং পরিশেষে বলা যায় আপনারা যারা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল এবং অধিকরি নিয়ে পড়ে আছেন তারা উপরোক্ত দোয়া গুলো পড়ে আমল করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনাদের সকলকে হেফাজত করবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url